খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলা হাইকোর্টে বাতিল
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
৩০-১০-২০২৪ ০১:০৯:২৫ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
৩০-১০-২০২৪ ০২:৩৭:২৫ অপরাহ্ন
ফাইল ফটো
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় নাশকতার অভিযোগে দায়ের করা ১০টি মামলা বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। এর আগে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্যের জেরে’ রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলাও বাতিল করা হয়।
পৃথক কয়েকটি আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার (৩০ অক্টোবর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় ‘গ্লোরী পরিবহনের’ যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ ও একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। ওই ঘটনায় পরের দিন ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা হয়।
অপরদিকে ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়। খালেদা জিয়া ছাড়া এসব মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন, বিএনপি নেতা আমানউল্লাহ আমান, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল ও সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে মন্তব্য করায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ঢাকার সিএমএম আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোমতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদী। একই সঙ্গে খালেদার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন জানান তিনি। ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে’ খালেদা জিয়া বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে। আজকে বলা হয়, এত লাখ লোক শহীদ হয়েছে। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে খালেদা জিয়া দাবি করেন, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি। তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা না দিলে মুক্তিযুদ্ধ হতো না। এ ঘটনায় রাষ্ট্রদ্রোহ মামলাটি হয়েছিল, যা বুধবার বাতিল করল হাইকোট।
বাংলা স্কুপ/প্রতিবেদক/এসকে
প্রিন্ট করুন
কমেন্ট বক্স